বিবরণ |
কার্যক্রম/কর্মপদ্ধতি |
মন্তব্য |
অফিসের নাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় |
|
প্রধান কার্যালয়: আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭। |
কার্যক্রম |
|
|
(ক) জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস উদ্যাপন |
স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সাঃ), মহান মে দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস ও শাহাদাত বার্ষিকী, শেখ রাসেল এর জন্ম দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যদায় উদ্যাপন।
|
|
(খ) পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রয় |
পবিত্র কুরআন শরীফ, তাফসীর গ্রন্থ, সিহাহ্ সিত্তাসহ ইসলামের মৌলিক বিষয়ে পুস্তক প্রকাশনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী গ্রন্থ, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভুমিকা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও গবেষণাপত্র প্রকাশ, বিভিন্ন ভাষায় রচিত ইসলামের মৌলিক বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও রচনা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা ও প্রকাশ করা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ। প্রায় ৪,০০০ শিরোনামে প্রকাশিত বই ও সবুজ পাতা, অগ্রপথিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা ইত্যাদি ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের বিক্রয় শাখায় বিক্রয়ের ব্যবস্থা আছে। |
কমিশনের হারঃ ১। ১/- থেকে ৫,০০০/- পর্যন্ত ২৫% ২। ৫,০০১/- থেকে ১০,০০০/- পর্যন্ত ৩০% ৩। ১০,০০০/- এর ঊর্দ্ধে ৩৫% এছাড়াও, পবিত্র রমজান মাসে বিশেষ কমিশনে বই বিক্রয় করা হয়। |
(গ) লাইব্রেরী |
পবিত্র কুরআন, হাদীস, তাফসীরসহ ইসলামী ও সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে একটি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যা ৭০০০। উক্ত লাইব্রেরী সকলের জন্য উন্মুক্ত। |
সময়: সকাল ৯.০০টা হতে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। |
(ঘ) মসজিদ পাঠাগার স্থাপন |
জেলা পর্যায়ে একটি ‘মডেল মসজিদ পাঠাগার’, ৫টি উপজেলায় ৫টি ‘উপজেলা মডেল মসজিদ পাঠাগার’ এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ৩২৫টি মসজিদ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদ পাঠাগারগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত। |
মসজিদ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার জন্য অফিস হতে বিনামূল্যে ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করতে হয়। |
(ঙ) যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ |
এই কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারী যাকাত তহবিলের জন্য যাকাতের অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত অর্থের ৫০% স্থানীয়ভাবে এবং বাকী ৫০% প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে তিবরণ করা হয়। যাকাতের অর্থে এ পর্যন্ত জেলার ১৫৩ জনকে সেলাই মেশিন, ৩৩ জনকে রিক্সা-ভ্যান, ৯ জনকে হুইল চেয়ার, ৬৪ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ৭ জনকে যাকাত ভাতা, ১ জনকে গৃহ মেরামত, ৪ জনকে চিকিৎসা, ১১ জনকে ব্যবসা, ১১ জনকে বৃক্ষ রোপন, ৭জন দুঃস্থ বিধবাকে পুনর্বাসন এবং ৪ জন নওমুসলিমকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। |
জেলার বিত্তবানদের নিকট থেকে জেলা ও উপজেলা যাকাত কমিটির মাধ্যমে যাকাত সংগ্রহ করে যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত গরীব দুঃস্থ বিধবা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। |
(চ) সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
যাকাত তহবিলের অর্থে মহিলাদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর জানুয়ারি-এপ্রিল, মে-আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর এই তিনটি ব্যাচে ৪ মাস মেয়াদী কোর্সের প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে মহিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। |
প্রশিক্ষণের জন্য কোন ফি নেয়া হয় না, তবে ভর্তির জন্য ৫০/- টাকা দিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হয়। |
(ছ) জাতীয় শিশু কিশোর ও ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা |
প্রতি বছর মাদ্রাসা ও স্কুল পর্যায়ে জাতীয় শিশু-কিশোর ও ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। এতে ক্বিরাত, আযান, হামদ, না’ত, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা বিষয়ে বিদ্যালয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায় এবং উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। |
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদ ও পুরস্কার দেয়া হয়। |
(জ) হজ্জ কার্যক্রম |
সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জ যাত্রীদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, পাসপোর্ট করা, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া, ফরম পূরণে সহায়তা, স্থাস্থ্য পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করা হয়। |
এসব কাজের জন্য কোন ফি নেয়া হয় না। |
(ঝ) মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম |
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় জেলার ৫টি উপজেলায় ৩৬৯টি প্রাক-প্রাথমিক, ১২টি বয়স্ক, ৩৬১টি সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র, প্রতি উপজেলায় ২টি করে মোট ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, ৫টি মডেল এবং ১৫টি সাধারণ রিসোর্স সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্রে ৩০জন শিক্ষার্থীকে বাংলা, অংক, ইংরেজী ও আরবী অক্ষর এবং সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র ৩৫জন শিক্ষার্থীকে কুরআন শিক্ষা এবং বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে ২৫ জন নিরক্ষরকে অক্ষরজ্ঞান ও সচেতনাতমূলক শিক্ষা দেওয়া হয়। |
শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত। |
(ঞ) ইমাম প্রশিক্ষণ |
জেলা কোটা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থী ইমাম বাছাই করে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী রাজশাহী কেন্দ্রে ৪৫ দিন দিনের প্রশিক্ষণের জন্য ইমাম প্রেরণ করা হয়। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৪৯২ জন ইমামকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের নিয়ে বছরে ১ বার সম্মেলন করা হয়ে থাকে। |
প্রশিক্ষণার্থী ইমামগণ নির্ধারিত হারে দৈনিক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। |
(ট) চাঁদ দেখা কমিটি |
প্রতি মাসে একবার জেলা চাঁদ দেখা কমিটির সভা করে জেলায় চাঁদ দেখা গেছে কিনা তার প্রতিবেদন ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়। |
জেলা চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতিঃ জেলা প্রশাসক। |
(ঠ) অন্যান্য কার্যক্রম |
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল অভিযানে অংশ নিয়ে জনগণকে এর বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এছাড়া, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক, মাদক প্রভৃতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় নিরলসভাবে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। |
মাসের শেষ সপ্তাহে জেলার ৫টি উপজেলায় ইমামদের নিয়ে উপজেলাভিত্তিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস